সৌদি আরবে মহিলাদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে মুখ খুলে ছিলেন। মহিলাদের অধিকার আদায় করতে শুধু সরবই হননি, বরং আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। সৌদি সেই মহিলা সমাজকর্মী লুইজেন অল হাথলাউল(Loujain al-Hathloul) অবশেষে জেল মুক্ত হলেন। তিনি আড়াই বছরের বেশি জেলে ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, জেলে থাকাকালীন তিনি লাগাতার ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কারা বিভাগের কর্তাদের হাতে।এমনকি তাকে নানান উপায় নির্যাতন করা হয়েছে বলেও দাবি উঠেছিল মানবাধিকার সংগঠনগুলির তরফে।
সারাবিশ্বে জুড়ে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন জোরদার হচ্ছিল। এমনকি তার উপর হওয়া করতে জানিও সোচ্চার হয়েছিলেন সৌদি মহিলারা। অবশেষে সৌদি আরবের উপর আন্তর্জাতিক চাপে মহিলা সমাজকর্মী তথা নারী আন্দোলনের অন্যতম মুখ লুইজেন অল হাথলাউল কে মুক্তি দিল সরকার।
৩১ বছর বয়সী এই মহিলা সমাজকর্মীর মুক্তি দেয় খুশির জোয়ার সমাজ আন্দোলনে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মধ্যে। খুশি বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। লুইজেন এর দিদি এদিন জানিয়েছেন,'লুইজেন বাড়ি ফিরে এসেছে।১০০১ দিন পরে ও বাড়ি ফিরল। দুজনের লড়াই গোটা বিশ্বের সমাদৃত। ২০১৯ এবং ২০২০ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তার নাম মনোনীত হয়েছিল।
তিনি সৌদি আরবের মহিলাদের গাড়ি চালানোর অধিকার আদায় করেছিলেন।এমনকি তিনি নিজেও মহিলাদের গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে সৌদি আরব যান গাড়ি চালিয়ে। ফলে গ্রেপ্তার হন। অভিযোগ ওঠে জেলে থাকার সময় কর্মকর্তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করা হয়।পুতুলের রক্ষীদের সঙ্গে বসিয়ে পর্নোগ্রাফিও দেখানো ছাড়া ও সিলিং থেকে ঝুলিয়ে মারধর এমনকি বৈদ্যুতিক শকের মত নির্যাতন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:তৃণমূলের প্রার্থী হতে চাইছেন না কেউ!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন